text
stringlengths 0
4.32k
|
---|
টিউলিপ |
টিউলিপ (বৈজ্ঞানিক নাম: Tulipa) পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও এটি বাগানে কিংবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়। অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। গৃহের অঙ্গসৌষ্ঠব বৃদ্ধিকারী ফুল হিসেবে এর সুনাম রয়েছে। |
বর্ষজীবি ও কন্দযুক্ত প্রজাতির এ গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভূক্ত উদ্ভিদ। সংকরায়ণসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই টিউলিপ নামে ডাকা হয়। টিউলিপ প্রায় ১৫০ প্রজাতিতে বিভাজ্য এবং অগণিত সংকর প্রজাতি রয়েছে।টিউলিপ বর্ষজীবি ও বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। এটি মুকুল থেকে জন্মায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন হয়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়। কিন্তু কিছু প্রজাতিতে (যেমন - টিউলিপ তুর্কেস্টানিকা) কয়েকটি ফুল হতে পারে। |
জমকালো ও আড়ম্বরপূর্ণ ফুলগুলো সাধারণতঃ কাপ কিংবা তারার আকৃতি হয়ে থাকে। এর তিনটি পুষ্পদল এবং তিনটি বহিঃদল রয়েছে। ফলে এর অভ্যন্তরভাগ গাঢ় রঙের দেখায়। টিউলিপে খাঁটি নীলাভ রঙ ব্যতীত বিভিন্ন রঙের হয়।[২][৩] এর ফল মোড়কে ঢাকা থাকে যা অনেকটা ক্যাপসুল আকৃতির। দুই সারিতে বীজ থাকে।[৪] হাল্কা থেকে ঘন বাদামী বর্ণের বীজগুলো খুবই পাতলা আবরণবিশিষ্ট। টিউলিপের ডাঁটায় অল্প কিছু পাতা থাকে। বৃহৎ প্রজাতিতে অনেকগুলো পাতা থাকতে পারে। সাধারণতঃ দুই থেকে ছয়টি পাতা থাকে। প্রজাতিভেদে এ পাতার সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২টি হতে পারে। পাতাগুলো নীলাভ সবুজ রঙের হয়।বাণিজ্যিকভিত্তিতে অটোম্যান সাম্রাজ্যে চাষাবাদ শুরু হলেও পরবর্তীকালে নেদারল্যান্ডে বাণিজ্যধর্মী আবাদ শুরু হয়। হল্যান্ড বিশ্বের প্রধান টিউলিপ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। বার্ষিক তিন বিলিয়নেরও অধিক টিউলিপ কন্দ উৎপাদন করে ও রপ্তানী আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসরূপে বিবেচিত।[৫] নেদারল্যান্ডের সাথে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। চাষাবাদ প্রণালীকে প্রায়শঃই ডাচ টিউলিপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। টিউলিপকে ঘিরে শিল্প গড়ে উঠেছে এবং টিউলিপ উৎসব পালন করা হয়। |
দু'টি প্রধান কারণে টিউলিপ উৎপাদন করা হয় - (ক) ফুল উৎপাদন এবং (খ) শুষ্ক কন্দ উৎপাদন। উদ্যান, বাগান, গৃহে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কন্দ উৎপাদন করা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ফুলের বিনিময় মূল্য প্রায় এগার হাজার মিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল করে রাখছে।পামির মালভূমি এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালার এলাকা থেকে উদ্ভূত হয়ে কাজাখস্তানে[৬] স্থানান্তরিত হয় যা পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, ইউরোপের দক্ষিণাংশ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়ার আনাতোলিয়া থেকে ইরানের পূর্বাংশ, চীনের উত্তর-পূর্বাংশ এবং জাপানে এ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। টিউলিপের সাথে হল্যান্ডের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ষোড়শ শতাব্দী থেকে টিউলিপের চাষ হয়ে আসছে।[৭] |
টিউলিপকে ইরান ও তুরস্কে ফার্সি ভাষায় লালে নামে ডাকা হয়। ধারণা করা হয় যে, টিউলিপের অনেক প্রজাতির আদি আবাসস্থল হিসেবে এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় গড়ে উঠেছে। |
পারস্যে লাল টিউলিপকে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়। লাল টিউলিপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কালো অংশের মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয় ভেঙ্গে খানখান ও কয়লার ন্যায় পুড়ে যাওয়া এবং হলুদ টিউলিপ বিনিময় করাকে আশাহীন ও সম্পূর্ণভাবে নিরাশাগ্রস্ত আকারে তুলে ধরা হতো। |
জবা |
জবা ফুল হল মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম, যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে। এটি চীনা গোলাপ নামেও পরিচিত।জবা একটি চিরসবুজ গুল্ম যার উচ্চতা ২.৫-৫ মি(৮-১৬ ফিট) ও প্রস্থ ১.৫-৩ মি(৫-১০ ফিট)। এর পাতাগুলি চকচকে ও ফুলগুলি উজ্জ্বল লাল বর্ণের ও ৫টি পাপড়ি যুক্ত। ফুলগুলির ব্যাস ১০ সেমি(৪ ইঞ্চি) এবং গ্রীষ্মকাল ও শরৎকালে ফোটে।বাগানের গাছ হিসেবে জবাকে গ্রীষ্মমণ্ডল এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডল অঞ্চলে সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। যেহেতু জবা ১০°সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে জবা গাছকে গ্রীনহাউসে রাখা হয়। জবা গাছের বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ,কমলা, ইত্যাদি হতে পারে। |
জুঁই |
জুঁই (বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum)[৪]shrub এবং vine গণের একটি সদস্য; যারা অলিভ পরিবারে অবস্থিত(Oleaceae)।এতে ইউরেশিয়া,অস্ট্রেলেশিয়া এবং ওশেনিয়ার মতো উষ্ণ অঞ্চলের ২০০ এর বেশি প্রজাতি রয়েছে। জুঁই তার আপন বৈশিষ্ট্যের কারণে বেশি চাষ হয়। এটি তিউনিসিয়ার জাতীয় ফুল।জুঁই পত্রঝরা (শীতকালে পাতা ঝরে এমন) অথবা চিরহরিত্ (সারা বছর সবুজ থাকে) উভয় প্রকারেরই হতে পারে। তাদের পাতা উল্টোদিকে গজায়। ফুলগুলো সাধারণত ২.৫ সেমি (০.৯৮ ইঞ্চি) হয়ে থাকে। তারা সাদা অথবা হলুদ হয়ে থাকে, যদিও র্যাডিশ রঙে তাদের খুবই কম দেখা দেয়। জুঁইয়ের ফল,জাম পাকলে কালো হয়।তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহর জুঁই উত্পাদনের জন্য বিখ্যাত । অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু সহ ভারতের পশ্চিম এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে, জুঁই নিজস্ব ঘরে চাষ করা হয়।এই ফুলগুলো তাদের জীবিকা এবং সজ্জার জন্য চাষ করা হয়। সুগন্ধি ইন্ডাস্ট্রির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যেও জুঁই চাষ করা হয়। এটি বিয়ে এবং ধর্মীয় উত্সবে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জগন্নাথ এর চন্দনযাত্রায়, জুঁইফুল এবং চন্দনকাঠে সুবাসিত পানি দ্বারা দেবীকে স্নান করানো হয়। |
মিনাক্ষী সুন্দরেশ্বর, মাদুরাই, তামিলনাড়ু এর জন্য জুঁই ব্যবহৃত হয় |
হায়দ্রাবাদ, ভারতে জুঁই ফুটছে |
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্সিতে পরিবর্তন এবং ২০১১ এর তিউনিশীয় বিদ্রোহ উভয়কেই ফুলের প্রেক্ষীতে "জুঁই বিদ্রোহ" বলা হয়। |
সিরিয়ায়, জুঁই হল দামেস্ক এর প্রতীকীয় ফুল, যাকে বলা হয় জুঁইয়ের শহর. থাইল্যান্ড এ, জুঁই[কোনটি?] ফুল মাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।. |
গন্ধরাজ |
গন্ধরাজ (বৈজ্ঞানিক নাম: Gardenia jasminoides) বাংলাদেশে ও ভারতে খুবই পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলটির ইংরেজি নাম gardenia[২]এবং অন্য নাম কেপ জ্যাসমিন উল্লেখযোগ্য।গন্ধরাজ গাছ দৈর্ঘ্যে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। সাদা রঙের এ ফুল সুগন্ধযুক্ত, বহুদলবিশিষ্ট। ফুল ফোটার মৌসুম বসন্ত থেকে বর্ষাকাল পর্যন্ত । ফোটার সময় দুধসাদা রং থাকলেও সময়ের সঙ্গে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এর পরাগধানিও হলুদ রঙের। ফুলের ব্যাস তিন-চার ইঞ্চি। পাতা দৈর্ঘ্যে তিন থেকে ছয় ইঞ্চি যা বিপরীত জোড়ে গজায়। পাতার রং গাঢ় সবুজ ও উপরিতল তৈলাক্ত। উচ্চ আর্দ্রতা ও উজ্জ্বল আলোয় ভালো জন্মে। এ ফুলের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ফুল শুকিয়ে যাওয়ার পরও সুগন্ধ থেকে যায় অনেক দিন। চিরসবুজ এ গাছের আদি নিবাস চীন।তীব্র সুগন্ধের জন্য যে কোনো বাড়ির আঙিনা বা ছাদ বাগান এবং পার্কে লাগানোর জন্য গন্ধরাজ একটি জনপ্রিয় ফুল। তবে ফুলদানিতে স্বল্প স্থায়িত্বের জন্য ফুলের বাজারে এর চাহিদা নেই বললেই চলে। গন্ধরাজের অনেক গুলি প্রজাতি রয়েছে। কিছু প্রজাতি বুনো, যা উপযুক্ত পরিবেশে অযত্নেই জন্মাতে এবং ফুল ফোটাতে দেখা যায়। বাগানে বা পার্কে সাধারণত ডাবল পাপড়ির ফুলগুলি দেখা যায়। গন্ধরাজ চাষে তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয়না। উচ্চ আর্দ্রতা সমৃদ্ধ আবহাওয়াতে এবং অম্লীয় মাটিতে এর ফুল ভালো হয়। গ্রীষ্ম থেকে শরৎ পর্যন্ত ফুল ফোটে। ফুল শেষে ছোট, ডিম্বাকৃতি ফল হয়। |
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে পলিনেসিয়ান মানুষরা ফুলের নেকলেস বানাতে এই সুগন্ধি ফুলগুলি ব্যবহার করেন। গন্ধরাজের ফলে রয়েছে ক্রোসিন যা কাপড় ও খাদ্যের জন্য হলুদ রঞ্জক হিসেবে ব্যবহার করা হয় । চীনে কমপক্ষে এক হাজার বছর ধরে এর চাষ হয়েছে। ঐতিহ্যবাহি চীনা ঔষধের মধ্যে গন্ধরাজের ফল ব্যবহার করা হয়। |
কামিনী |
কামিনী ছোট আকৃতির ঝোপভাবাপন্ন চিরসবুজ বৃক্ষ। ৮/১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। গাছটি ছেঁটে রাখলে অতি সুন্দর দেখা যায়। পাতা ছোট, লম্বা ও প্রায় ডিম্বাকৃতির, গাঢ় সবুজ। ফুল চমৎকার সুগন্ধযুক্ত, বহির্বাস ৫টি, পরস্পর বিভক্ত, অগ্রভাগ সরু, পাপড়ী মাথার দিকে বিস্তৃত। ফল গোলাকার ও রক্তিম। কামিনীর আদি নিবাস মালয়েশিয়া ও চীন। সাদা বর্ণের ফুল গ্রীষ্ম ও বর্ষায় ফুটতে দেখা যায়। |
প্রাপ্তিস্তানঃ বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়। |
চাষাবাদঃ বীজ, শাখা ও দাবা কলম থেকে চারা পাওয়া যেতে পারে। কামিনী দ্রুত বাড়ে। |
উপযোগী মাটিঃ সব ধরনের মাটিতে কামিনী জন্মে। |
লাগানোর দূরত্বঃ ৫ থেকে ৭ ফুট। |
বীজ সংগ্রহের সময়ঃ বর্ষার শেষে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। |
প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রায় ১০০০ টি। |
প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ বীজ সংগ্রহ করে ভাল করে রোদে শুকিয়ে বেশ কিছুদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। পাতা, মূল ও ছাল মৃদু রোদে শুকিয়ে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। |
ব্যবহার্য অংশঃ পাতা, মূল, ছাল। |
উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ কামিনীর পাতার রস আমাশয়ে, কাটা-ছেড়ায়, সর্দিতে ও ব্যথায় বিশেষ উপকারি। পাতা উত্তেজক এবং ফুলা বা শরীরে পানি জমে যাওয়া রোগে উপকারি। |
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ |
আমাশয় রোগে- কামিনী গাছের মূলের ছাল ৪/৫ গ্রাম অথবা ডাল ৭ গ্রাম ২ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে আধ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেই পানি ৩/৪ বার খেতে হবে। দুই-একদিনের মধ্যেই আমাশয় কমে যাবে। |
কাটা-ছেঁড়ায়- কামিনী পাতার গুড়ো টিপে দিয়ে বেধে রাখতে হয়। এতে ব্যথা হয় না আবার রক্ত পড়াও বন্ধ হয়। |
সর্দিতে- কামিনী পাতার মিহি গুঁড়োর নস্যি নিলে হাচি হয়ে সর্দি বেরিয়ে যাবে। |
পরিশ্রমজনিত ব্যথায়- কামিনী গাছের পাতা বাঁটা দিয়ে মিনারেল তেল জ্বাল করে সেই তেল ব্যথার জায়গায় মালিশ করলে ব্যথা সেরে যাবে। |
পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণতঃ ২ থেকে ৩ বছরে কামিনী গাছে ফুল আসে। |
অন্যান্য ব্যবহারঃ ফুলের তোড়া সাজাতে কামিনীর ঢাল ব্যবহার করা হয়। ইকেবনা পদ্ধতির ফুল সাজানোতেও কামিনীর ডালের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। |
ফল |
শব্দটি বিভিন্ন পরিস্থিতে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন খাবার তৈরিতে এবং আর জীববিজ্ঞানে ব্যবহৃত ফল শব্দটি সমার্থক নয়। ফল বলতে কোন সপুষ্পক উদ্ভিদ, যা বীজ ছড়ায়। এ বীজ গাছে থাকলে তাকে অনেক সময় ফল বলা যায় আবার বীজ ফলের মধ্যও অবস্থান করে তবে সকল বীজই ফল হতে আসে না।[১] আবার কোনো কোন ফল ফুল থেকে নাও হতে পারে। |
উদ্ভিদবিজ্ঞানের ফল এবং রান্নার ফল |
ভ্যান চিত্রে রান্নার সবজি এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান এর ফলের মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। এমন কিছু সবজি আছে যেমন টমেটো যা দুটো ভাগেই পরে। |
উদ্ভিদবিজ্ঞানের মতে ফল এমন অনেক ফলই রান্নায় বা খাবার তৈরিতে সবজি হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এগুলো মিষ্টি নয়। এ ধরনের ফলের মধ্যে রয়েছে, টমেটো, বেগুন, মটরশুটি, সিম, ভুট্টা, কুমড়া, লাউ, নানা ধরনের মরিচ এবং মসলা ইত্যাদি। এমন খুব কম রান্নার ফল রয়েছে যা উদ্ভিদবিজ্ঞানের মতে ফল নয়। |
ফল |
English |
ফল (Fruit) বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের উষ্ণমন্ডলীয় ও উপ-উষ্ণমন্ডলীয় ফল পাওয়া যায়। ব্যাপকভাবে জন্মানো ফলগুলির মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল, কালো জাম, আনারস, কলা, লিচু, লেবু, পেয়ারা, আতা, কতবেল, চালতা, আমলকি, পেঁপে, তেঁতুল, তরমুজ, বাংগি, কাজু বাদাম, ডালিম, ডেউয়া, তাল, বিলাতি গাব, বিলাতি আমড়া, জামরুল, জলপাই ও বরই/কুল। অনেক অপ্রধান খাবার উপযোগী ফল রয়েছে যেগুলি বন্য ও চাষকৃত উভয়রূপে পাওয়া যায়, যেমন লটকন, ডেউয়া, বেত, গাব প্রভৃতি। বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের প্রধান ও অপ্রধান ফল পাকার সময় মে, জুন ও জুলাই মাসকে ফলের মাস হিসেবে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। কিছু ফল সারা বছর পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রয়েছে পেঁপে, সফেদা, নারিকেল ও কলা। সাধারণত আমদানিকৃত ফলসমূহের মধ্যে রয়েছে কমলা, আপেল, ডালিম, আঙ্গুর, খেজুর, ম্যান্ডারিন ইত্যাদি। |
কয়েকটি স্থানে আঙ্গুর ব্যতীত বাংলাদেশে উষ্ণমন্ডলীয় ফলের চাষ সফল হয় নি। সিলেটের কিছু নির্দিষ্ট এলাকা এবং রাঙ্গামাটি (সাজেক) ও বান্দরবান (রামু) জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমলার চাষ সীমাবদ্ধ। |
আতা |
আতা হল অ্যানোনেসি (Annonaceae) পরিবারভুক্ত এক ধরনের যৌগিক ফল। এটি শরিফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। এই ফলের ভিতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ, বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশই খেতে হয়। পাকা ফলের বীজ কালো এবং কাঁচা ফলের বীজ সাদা। বীজ বিষাক্ত। এটি গুচ্ছিত ফল অর্থাৎ একটি মাত্র পুষ্পের মুক্ত গর্ভাশয়গুলো হতে একগুচ্ছ ফল উৎপন্ন হয়।[২] |
এর বেশ কয়েকটি প্রজাতি ও প্রকরণ আছে। সবগুলোকেই ইংরেজিতে ‘কাস্টার্ড অ্যাপল’, ‘সুগার অ্যাপল’, ‘সুগার পাইন এপল’ বা ‘সুইটসপ’ (Custard-apple, Sugar-apple, sugar-pineapple or sweetsop) বলা হয়। সবগুলোকেই বাংলায় ‘আতা’, ‘শরিফা’, ‘নোনা’—এই তিনটি নামে ডাকা হয়। অঞ্চলভেদে নামের কিছু পার্থক্য আছে। |
আতা গাছ |
আতার আদিবাস ভারত। বাংলাদেশ ও ভারতে এটি বসতবাড়ীর আঙিনায় এবং বনে-জঙ্গলে জন্মে থাকে। তবে থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়ে থাকে। আতা গাছ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের আকার খুব বড় নয় ; উচ্চতায় ৩ থেকে ৫ মিটার। শীতকালে এর পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়, ফুল ধরে। পাতার আকৃতি বল্লমের মতো, অগ্রভাগ সরু। এর ফুল দেখতে কাঁঠালি চাঁপার মতো যার রঙ হালকা সবুজ থেকে সবুজাভ হলুদ হয়ে থাকে। কাঁচা ফল খাওয়া যায় না। বেলে দো-আঁশ মাটিতে আতা গাছ ভাল জন্মে [২]। বীজ থেকে এর চারা করা হয়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ফুল ধরে এবং ৪/৫ মাসের মধ্যে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফল পেকে যায়। আতাফল হৃৎপিণ্ড আকৃতির হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্যোপদান রয়েছে। পাকা আতার শাঁস মিষ্টি হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় জিভে চিনির মতো মিহি দানা দানা লাগে। এর কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে। যেমন পাকা আতার শাঁস বলকারক, বাত-পিত্তনাশক ও বমনরোধক।[৬] |
পাকা ফল সুমিষ্ট হওয়ার কারণে অনেক সময়ই পোকার সংক্রমণ হয়, সাদা রঙের পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয় ফল। |
আম |
আম ম্যাঙ্গিফেরা গণের বিভিন্ন প্রজাতির গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদে জন্মানো এক ধরনের সুস্বাদু ফল[২]। কাঁচা অবস্থায় আমের রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাওয়ার জন্যই এই ফল চাষ করা হয়। এই প্রজাতিগুলোর বেশিরভাগই বুনো আম হিসেবে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। গণটি অ্যানাকার্ডিয়াসি (Anacardiaceae) পরিবারের সদস্য।[৩] আম ভারতীয় উপমহাদেশীয় ফল। এর আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়া।[৪][৫] সেখান থেকেই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি সাধারণ ফল হয়ে "সাধারণ আম" বা "ভারতীয় আম", যার বৈজ্ঞানিক নামম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা (Mangifera indica), অন্যতম সর্বাধিক আবাদকৃত ফল হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যাঙ্গিফেরা গণের অন্যান্য প্রজাতিগুলো (যেমনঃ হর্স ম্যাঙ্গো, ম্যাঙ্গিফেরা ফ্লোটিডা) স্থানীয়ভাবে আবাদ করা হয়।ধারণা করা হয়, আম প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরের পুরনো। |
আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়।আমের জন্মস্থান নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। বৈজ্ঞানিক ‘ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা’ নামের এ ফল ভারতীয় অঞ্চলের কোথায় প্রথম দেখা গেছে, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের এ জনপদেই যে আমের আদিবাস— এ সম্পর্কে আম বিজ্ঞানীরা একমত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭-এ আলেকজান্ডার সিন্ধু উপত্যকায় আম দেখে ও খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এ সময়ই আম ছড়িয়ে পড়ে মালয় উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ও মাদাগাস্কারে। |
চীন পর্যটক হিউয়েন সাং ৬৩২ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এ অঞ্চলে ভ্রমণে এসে বাংলাদেশের আমকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেন। ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে আফ্রিকায় আম চাষ শুরু হয়। এরপর ১৬ শতাব্দীতে পারস্য উপসাগরে, ১৬৯০ সালে ইংল্যান্ডের কাচের ঘরে, ১৭ শতাব্দীতে ইয়েমেনে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে, ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইতালিতে আম চাষের খবর জানা যায়। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাটিতে প্রথম আমের আঁটি থেকে গাছ হয়। এভাবেই আম ফলটি বিশ্ববাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। |
জানা যায়, মোগল সম্রাট আকবর ভারতের শাহবাগের দাঁড়ভাঙায় এক লাখ আমের চারা রোপণ করে উপমহাদেশে প্রথম একটি উন্নত জাতের আম বাগান সৃষ্টি করেন। আমের আছে বাহারি নাম বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ। গোলাপখাস,ফজলি, আশ্বিনা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, গোপালভোগ, কল্পনা,মোহনভোগ জিলাপিভোগ, লক্ষণভোগ, মিছরিভোগ, বোম্বাই ,চৌসা,ক্ষীরভোগ, বৃন্দাবনী, চন্দনী, হাজিডাঙ্গ, সিঁদুরা, গিরিয়াধারী, বউভুলানী, জামাইপছন্দ, বাদশভোগ, রানীভোগ, দুধসর, মিছরিকান্ত, বাতাসা, মধুচুসকি, রাজভোগ, মেহেরসাগর, কালীভোগ, সুন্দরী, আম্রপালি, পানবোঁটা, দেলসাদ, কালপাহাড়সহ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়া যায় প্রায় ৩০০ জাতের আম। তবে অনেকগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়। |
আম গাছ |
আম গাছ সাধারণত ৩৫-৪০মি: (১১৫-১৩০ ফিট) লম্বা এবং সর্বোচ্চ ১০মি: (৩৩ ফিট) ব্যাসার্ধের হয়ে থাকে। আম গাছ বহু বছর বাঁচে, এর কিছু প্রজাতিকে ৩০০ বছর বয়সেও ফলবতী হতে দেখা যায়। এর প্রধান শিকড় মাটির নিচে প্রায় ৬মি: (২০ ফিট) গভীর পর্যন্ত যায়। আম গাছের পাতা চিরসবুজ, সরল, পর্যায়ক্রমিক, ১৫-৩৫ সে.মি. লম্বা এবং ৬-১৬ সে.মি. চওড়া হয়ে থাকে; কচি পাতা দেখতে লালচে-গোলাপী রং এর হয়। আমের মুকুল বের হয় ডালের ডগা থেকে, মুকুল থেকে শুরু করে আম পাকা পর্যন্ত প্রায় ৩-৬ মাস সময় লাগে। |
পাকা আমের আকার, আকৃতি, রঙ, মিষ্টতা এবং গুণগত মান জাতভেদে বিভিন্নরকম হয়ে থাকে।[৪] আমগুলো জাতভেদে হলুদ, কমলা, লাল বা সবুজ বর্ণের হতে পারে।[৪] ফলটি একক ত্বকবিশিষ্ট, লম্বাকৃতির বীজত্বক থাকে। বীজত্বক পৃষ্ঠ তন্তুযুক্ত বা লোমশ হতে পারে এবং পাল্প থেকে সহজে আলাদা করা যায় না।[৪] ফলগুলো বৃত্তাকার, ডিম্বাকৃতির বা বৃক্ক আকারের হয়ে থাকে। দৈর্ঘ্যে একেকটি আম ৫–২৫ সেন্টিমিটার (২–১০ ইঞ্চি) এবং ওজনে ১৪০ গ্রাম (৫ আউন্স) থেকে ২ কিলোগ্রাম (৫ পা) হয়ে থাকে।[৪] ফলত্বক চামড়ার মতো, মোমের আস্তরণযুক্ত, মসৃণ এবং সুগন্ধযুক্ত, রঙ সবুজ থেকে হলুদ, হলুদ-কমলা, হলুদ-লাল বা পুরোপুরি পাকলে লাল, বেগুনি, গোলাপী বা হলুদের বিভিন্ন শেডের মিশ্রণযুক্ত।[৪] |
পাকা অক্ষত আম থেকে মিষ্টি স্বাদযুক্ত সুবাস পাওয়া যায়।[৪] বীজত্বকের ভিতরে ১–২ মিমি (০.০৩৯–০.০৭৯ ইঞ্চি) পুরু পাতলা আস্তরণযুক্ত একটি একক বীজ থাকে যা ৪–৭ সেমি (১.৬–২.৮ ইঞ্চি) লম্বা। আমগুলোতে অ-পুনরুদ্ধারযোগ্য বীজ থাকে যা ঠাণ্ডায় জমে বা শুকিয়ে গেলে তা থেকে আর চারা উৎপন্ন হয় না।[১২] আমের বীজ থেকে সহজেই চারা জন্ম নেয় ও বেড়ে উঠে। সাধারণত অঙ্কুরোদগমের হার সর্বাধিক থাকে যখন পরিপক্ক ফল থেকে বীজ নেওয়া হয়। |
চাষাবাদ ও ব্যবহার |
ভারতীয় উপমহাদেশে আম কয়েক হাজার বছর ধরে চাষাবাদ চলছে,[১৩] পূর্ব এশিয়াতে আমের প্রচলন হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫ম-৪র্থ শতাব্দী থেকে এবং চাষাবাদ শুরু হয় আরো পরে খ্রিষ্টাব্দ ১০ম শতাব্দী দিকে[১৩]। ভারতীয় উপমহাদেশ এবং পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশের পর পৃথিবীর অন্য যেসব দেশে ভারতীয় উপমহাদেশের মত জলবায়ু রয়েছে, যেমন: ব্রাজিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা মেক্সিকোতে আরো অনেক পরে আমের প্রচলন ও উৎপাদন শুরু হয়।[১৩] মরোক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতা ১৪ শতকে আমের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন।[১৪] |
বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত উষ্ণ প্রধান জলবায়ুর অঞ্চল গুলোতে আমের চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে অর্ধেকের কাছাকাছি আম উৎপাদন হয় শুধুমাত্র ভারতেই[১৫][১৬][১৭]। এর পর অন্যান্য যেসব দেশ আম উৎপাদন করে তার মধ্যে আছে চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা প্রভৃতি। আম খুব উপকারী ফল। |
বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগন্জ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত। "কানসাট আম বাজার" বাংলাদেশ তথা এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ আম বাজার হিসেবে পরিচিত। মকিমপুর, চককির্ত্তী, লসিপুর, জালিবাগান, খানাবাগান সহ বিশেষ কিছু জায়গায় অত্যন্ত সুস্বাদু এবং চাহিদা সম্পূর্ণ আম পাওয়া যায়। |
আমের প্রকারভেদ |
আমের কয়েক শতাধিক জাত রয়েছে যাদের নামকরণ করা হয়েছে। আমের বাগানে পরাগায়নের সময় জন্য প্রায়শই বেশ কয়েকটি নতুন জাত জন্মে। অনেক পছন্দসই জাতগুলো মনোএমব্রায়োনিক হয় এবং কলমের মাধ্যমে তা প্রচার করতে হয়, নতুবা সেগুলো চারা উৎপন্ন করে না। একটি সাধারণ মনোএমব্রায়নিক জাত 'আলফোনসো', যা 'আমের রাজা' হিসেবে বিবেচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্য।[১৯] |
একটি জলবায়ুতে ভালো জাত অন্য কোথাও লাগালে ব্যর্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপঃ 'জুলি' একটি ভারতীয় জাত যা জ্যামাইকাতেও ব্যবসাসফল, তবে ফ্লোরিডায় এটিকে চাষ করতে হলে প্রাণঘাতী ছত্রাকজনিত রোগ অ্যানথ্রাকনোজ থেকে বাঁচতে বার্ষিক ছত্রাকনাশক চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এশীয় আমগুলো অ্যানথ্রাকনোজ প্রতিরোধী। |
বর্তমান বিশ্ববাজারে কৃষক 'টমি অ্যাটকিনস' আধিপত্য বিস্তার করেছে, এটি 'হ্যাডেন' এর চারা থেকে উৎপন্ন যা ১৯৪০ সালে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় প্রথম ফল দিয়েছিল এবং প্রথমদিকে ফ্লোরিডার গবেষকরা বাণিজ্যিকভাবে এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[২০] বিশ্বব্যাপী উৎপাদক এবং আমদানিকারকরা এর দুর্দান্ত ফলন এবং রোগ প্রতিরোধ, শেলফ লাইফ, পরিবহনযোগ্যতা, আকার এবং আবেদনময় রঙের জন্যএই জাতটিকে আলিঙ্গন করে নিয়েছেন।[২১] যদিও টমি অ্যাটকিন্স চাষ বাণিজ্যিকভাবে সফল, খাবার জন্য গ্রাহকরা আলফোনসোর মতো অন্য জাতগুলোকেও পছন্দ করতে পারেন।[১৯][২১] |
সাধারণত পাকা আমে কমলা-হলুদ বা লালচে খোসা থাকে এবং সরস হওয়ায় এটি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত থাকে, তবে রপ্তানি করার সময় প্রায়শই সবুজ খোসাযুক্ত কাঁচা আম বাছাই করা হয়। পাকানোর জন্য ইথিলিন ব্যবহার করা হলেও রপ্তানি করা অপরিপক্ব আমের প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের মতো রস এবং স্বাদ নেই। |
ফজলি |
সুরমা ফজলী |
আশ্বিনা |
ক্ষীরমন |
খিরসাপাত |
হাড়িভাঙ্গা |
আলফানসো |
ল্যাংড়া |
গৌড়মতি |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.